14 Oct 2017

ম্যালওয়্যার যখন গুপ্তচর


ফর্মবুক একটি ম্যালওয়্যার তথা স্পাইওয়্যারএটি যে অত্যন্ত শক্তিশালী এবং বিপজ্জনক কোনো ম্যালওয়্যার, তা মোটেই নয়।
Photo Credit : Pixabay
কিন্তু গত এক বছর ধরে এই ম্যালওয়্যারটি সাইবার ওয়ার্ল্ডে বিশেষ কুখ্যাতি অর্জন করেছে অন্য কারণে। কারণটি হল, ফর্মবুক ম্যালওয়্যার বর্তমানে সাইবার এসপিওনেজ অর্থাৎ ইনটারনেটের মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তির সংজ্ঞাটাই পালটে দিয়েছে।

কীভাবে ফর্মবুক ম্যালওয়্যার হামলা চালায়?


এটি সাধারণ ভিকটিমের কম্পিউটারে ইমেলের মাধ্যমে হামলা চালায়।  যার (ভিকটিম) কম্পিউটারে হামলা চালানো হবে, সেই ব্যক্তির
Photo Credit : Pixabay
ইমেলে বা তিনি যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তাদের অ্যাড্রেসে একটি ইমেল পাঠানো হয়। ইমেলের মধ্যে অ্যাটাচমেন্ট হিসাবে থাকে কোনো পিডিএফ বা ওয়ার্ড ডকুমেন্ট ফাইল বা আর্কাইভ ফাইল (জিপ, র‍্যার ইত্যাদি)মেলের সঙ্গে অ্যাটাচ করা এই ফাইলগুলিতে ম্যালওয়্যারটির ডাউনলোড লিংক লুকানো থাকে। অর্থাৎ কেউ যখন ওই অ্যাটাচমেন্টে ক্লিক করবেন, তখন সেই লুকিয়ে রাখা ডাউনলোড লিংকটি সক্রিয় হয়ে উঠবে এবং কম্পিউটারে ফর্মবুক ম্যালওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করবে।

ভিডিয়ো কল রেকর্ডিং



জিও পরবর্তী যুগে আমাদের দেশে এখন রাস্তার নুড়ি পাথরের থেকেও নেটপ্যাক সস্তা তাই জলের দরে পাওয়া 4G নেটপ্যাকের জেরে এখন
Photo Credit : Pexels

যেমন অনলাইনে মুভি দেখা, গান শোনার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে, তেমনি বেড়েছে ফেসবুক ও হোয়াটস্অ্যাপ সহ বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ভিডিয়ো কলিং কিন্তু ফেসবুক বা হোয়াটস্অ্যাপ—এর মাধ্যমে ভিডিয়ো কলিং করলে তা রেকর্ড করা সম্ভব নয়। কারণ ফেসবুক এবং হোয়াটস্অ্যাপ—এ তেমন কোনো ফিচার নেই। কিন্তু এই সমস্যা মেটানো যায় একটি বিশেষ উপায়ে 

ফোনের সাহায্যে এটিএম থেকে টাকা তোলার নতুন প্রযুক্তি


এখন যে কোনো বড় শহরে প্রায় প্রতিটি এলাকাতে এক বা একাধিক ATM (Automated Teller Machine, অনেকে যাকে All Time Money বলে ভুল করেন)  কিয়স্ক দেখা যায়, কিন্তু মাত্র ১০-১২ বছর আগেও
Photo Credit : Pixabay

ছবিটা অন্য রকম ছিল| তখন টাকা তুলতে হলে চেক বা স্লিপ হাতে ব্যাঙ্ক-এ গিয়ে লাইন দিতে হত| কিন্তু পকেটে এখন ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড থাকলেই হলো, এটিএম-এ গিয়ে কার্ড সোয়াইপ করে পিন (Personal Index Number) ইনপুট করলেই বেরিয়ে আসবে করকরে নোট| কিন্তু এবার বোধয় কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলার দিনও শেষ হতে চলেছে| এমন দিন আর দূরে নয় যখন এটিএম থেকে টাকা তোলার সময় আপনার আর পিন ইনপুট করতে হবে না, সমস্ত কাজটাই করবে আপনার হাতের মুঠোয় থাকা স্মার্ট ফোনটি| বিষয়টি কল্পবিজ্ঞানের মত শোনালেও বাস্তব| ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর কয়েকটি ব্যাঙ্ক স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে এটিএম থেকে টাকা তোলার পদ্ধতি পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করেছে|

ফোনের সাহায্যে এটিএম থেকে টাকা তোলার সুবিধা



Photo Credit : Pixabay
প্রথমতকোনো কোনো ব্যাঙ্ক অবশ্য QR কোড বা বার কোড অপশন ব্যবহার করছে| সেক্ষেত্রে ফোনে ব্যাঙ্ক-এর অ্যাপটি ট্যাপ করার পর এটিএম প্রথমে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য যাচাই করবে| তথ্য ঠিক থাকলে এটিএম স্ক্রীনে একটি QR কোড বা বার কোড ডিসপ্লে করবে| আপনাকে সেই কোডটি ফোনের সাহায্যে স্ক্যান করতে হবে, স্ক্যান কমপ্লিট হলে এটিএম থেকে টাকা বেরিয়ে আসবে|

ফোনে এজ ব্রাউজার



      মাইক্রোসফটের লুমিয়া মোবাইল ফোন ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়েছে লুমিয়া ফোন যে খারাপ ছিল তা নয়, কিন্তু ভুল ব্যবসায়ীক নীতির
Photo Credit : Pixabay
জন্য যে ভালো প্রোডাক্টের ব্যাবসাও মার খায়, লুমিয়া ফোন তার অন্যতম প্রমাণ গুগল ক্রোম বা ফায়ারফক্স ব্রাউজারের অনেক আগে মাইক্রোসফট্ ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্রাউজার তৈরি করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ক্রোম বা ফায়ারফক্সের মতো উন্নত ব্রাউজার তৈরি হওয়ায় ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকে। 

13 Oct 2017

রোমান্টিম্যাটিক



❦ রোমান্টিম্যাটিক এই অ্যাপটি তৈরি করেছেন ওয়েব ও সফট্ওয়্যার ডেভেলপার গ্রেগ নাউজ। কী করা যাবে অ্যাপটির সাহায্যে? অ্যাপে প্রথমে ইনপুট করতে হবে আপনার প্রিয়জনের ফোন নম্বর 

Photo Credit : Pixabay


এবার ফোনে পুশ নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য টাইম ও ফ্রিকোয়েন্সি সেট করতে হবে। সেই অনুসারে অ্যাপটি আপনাকে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে নোটিফিকেশন দিয়ে জানিয়ে দেবে যে, এখন প্রিয়জনকে ফোন করতে হবে বা এসএমএস পাঠাতে হবে।  এসএমএস আপনি নিজে পাঠাতে পারেন আবার এই অ্যাপে বেশ কিছু বিল্টইন এসএমএস রয়েছে, সেগুলির সাহায্যও নিতে পারেন।
গ্রেগ কেন অ্যাপটি তৈরি করেছেন? তাঁর বক্তব্য, ‘আমার প্রায় ২০ বছর হল বিয়ে হয়েছে, কিন্তু স্ত্রীকে যে ভালোবাসি বা তাঁ প্রতি কেয়ার করি, সেটা মাঝেমধ্যেই কথায় প্রকাশ করতে ভুলে যাই। তাই অ্যাপটি তৈরি করেছি। এই অ্যাপ আমাকে এবং আমার মতো আরো অনেককে প্রিয়জনকে ভালোবাসার কথা মনে করিয়ে দেবে।

ভার্চুয়াল কীপ্যাড


Photo Credit : Pixabay
         আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টে যত শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিন না কেন, যদি আপনার কম্পিউটারে কীলগার ম্যালওয়্যার হামলা চালায় তবে আপনি কোন অ্যাকাউন্টের জন্য কোন পাসওয়ার্ড টাইপ করছেন, তা ম্যালওয়্যারটি রেকর্ড করে হ্যাকারের কাছে পাঠিয়ে দেবে। অর্থাৎ হ্যাকার আপনার জিমেল, ফেসবুক, নেট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট সহ সমস্ত অনলাইন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড জেনে যাবে।

বিশ্বের প্রথম পিসি ভাইরাস ব্রেন


বিশ্বের প্রথম ভাইরাস এলক্ ক্নোনার তৈরির চার বছর পর ১৯৮৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল ব্রেন ভাইরাস। এলক্ ক্লোনার ছিল প্রথম ম্যাক



Photo Credit : Pixabay
(অ্যাপল ম্যাকিনটোশ)বেসড্ ভাইরাস। কিন্তু ব্রেন ছিল প্রথম আইবিএম পিসি প্ল্যাটফর্ম বেসড্ ভাইরাস। ব্রেন ভাইরাসটিও বুট সেক্টর ভাইরাস। ভাইরাসটি তৈরি করেছিলেন দুই পাকিস্তানি ভাই আমজাদ ফারুখ আলভি এবং বসিত ফারুখ আলভি। রিখের উদ্দেশ্য ছিল নিছক মজা, আলভি ভাইদের উদ্দেশ্য কিন্তু অন্যের কম্পিউটারের ক্ষতি করা ছিলতাঁরা ব্রেন ভাইরাসের মাধ্যমে সফট্ওয়্যার পাইরেসি বন্ধ করতে চেয়েছিল। যারা পাইরেটেড সফট্ওয়্যার ব্যাবহার করতো, ব্রেন তাদের কম্পিউটারের ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ স্লো করে দিত এবং ডেস্কটপে একটি মেসেজ শো করতো। মেসেজটি ছিল এই রকম—

কীভাবে কাজ করতো বিশ্বের প্রথম ভাইরাস এলক্ ক্লোনার?




বিশ্বে প্রথম কম্পিউটার ভাইরাসটি তৈরি করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা মাত্র ১৪ বছরের এক কিশোর রিচার্ড স্ক্রেনটা, যার ডাক
Photo Credit : Pixabay

নাম ছিল রিখতার তৈরি ভাইরাসটির নাম ছিল এলক্ ক্লোনার। ভাইরাসটি তৈরি করা হয়েছিল অ্যাপল কোম্পানির কম্পিউটারে হামলা চালানোর জন্য। কীভাবে কাজ করতো এলক্ ক্লোনার?

বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার ভাইরাস এলক্ ক্লোনার

অনেকের ধারণা যে, অ্যাপলের কম্পিউটারে কোনো অ্যান্টিভাইরাস প্রয়োজন নেই কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। অ্যাপলের কম্পিউটারে ভাইরাস হামলা যে একেবারেই হয় না, তা নয়।
Photo Credit: Pixabay
তবে হামলার পরিমাণ উইনডোজ কম্পিউটারের থেকে অনেকটাই কম। কারণ ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমে রয়েছে ইউনিক্স কোর। কিন্তু একটা তথ্য অনেকেই হয়তো জানেন না যে, বিশ্বে প্রথম ভাইরাসটি তৈরি করা হয়েছিল অ্যাপলের কম্পিউটারে হামলা চালানোর জন্য। তাই এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, অ্যাপলের কম্পিউটার পুরোপুরি ভাইরাস হামলা ঠেকাতে সক্ষম।’ সে অবাক হয়ে বলল, ‘তাই, জানতাম না তো!’

জনপ্রিয় পোস্ট