6 Jul 2020

ভারতের প্রথম সোশ্যাল অ্যাপ ‘এলিমেন্টস’, তবে শুরুটা করেছিল ওয়ার্ল্ডফ্লোট

Image courtesy: Elyments

আপনারা কেউ কি এলিমেন্টস (Elyments) অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন ? এলিমেন্টসকে বলা হচ্ছে ভারতে প্রথম সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাপ । অর্থাৎ চিনের বিভিন্ন অ্যাপ আমাদের দেশে নিষিদ্ধ হওয়ার পর দেশি অ্যাপ তৈরি ও ব্যবহারের যে দাবি উঠেছে, তার একটা বড় উদাহরণ বলা যেতে পারে এলিমেন্টস অ্যাপ । গতকালই লঞ্চ হয়েছে অ্যাপটি । পাওয়া যাচ্ছে গুগল প্লে স্টোরে ও অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে ।

টেকনোবিটসের ব্লগ এখন ফেসবুক ছাড়াও পাবেন  টুইটার,  টেলিগ্রাম  ও  ইনস্টাগ্রামে  


তবে এলিমেন্টস অ্যাপকে ভারতের প্রথম সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাপ বলা হলেও ভারতীয়দের তরফে এর আগে কিন্তু ফেসবুক বা অর্কুটের মতো অনলাইন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট তৈরি করা হয়েছিল । এই মুহূর্তে আমার এমন দুটি সাইটের কথা মনে পড়ছে - ওয়ার্ল্ডফ্লোট এবং পোলো । দুর্ভাগ্যের বিষয়, দুটি সাইটই শেষ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় । 





ওলার্ল্ড ফ্লোট লঞ্চ হয়েছিল ২০১২ সালে । প্রথমদিকে সাইটটি জনপ্রিয় হয়েছিল । লঞ্চ হওয়ার দেড় বছরের মধ্যে গ্রাহকসংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছিল ৩ কোটি । এটি বিশ্বের প্রথম সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট যেখানে ফ্লোট কনসেপ্ট ব্যবহার করা হয়েছিল । অর্থাৎ সাইটের সদস্য হলে স্ক্রিনে আপনি নিজেকে একটা ভার্চুয়াল বুদবুদের মধ্যে দেখতে পাবেন এবং সেটি দেশে-বিদেশে ভেসে বেড়াবে । বিষয়টি যাতে বাস্তব মনে হয় সেজন্য ব্যবহার করা হয়েছিল থ্রিডি এফেক্ট । বুদবুদের মধ্যে আপনি যখন কোনও দেশের কোনও শহরের উপর দিয়ে ভেসে বেড়াবেন, তখন স্ক্রিনে সেই শহরে থাকা ওয়ার্ল্ডফ্লোট কমিউনিটি মেম্বারদের ছবি শো করবে । তাদের মধ্যে কতজন আপনাকে ফলো করছে সেটাও আপনি স্ক্রিনে দেখতে পারবেন । এছাড়া এই সাইটে ছিল ৫০ হাজার দেশি-বিদেশি মুভির কালেকশন, সার্চ ইঞ্জিন, লাইভ ভিডিয়ো চ্যাটিং, নিউজ পড়ার সুবিধা ইত্যাদি । সাইটটি তৈরি করেছিলেন রাজস্থানের এক যুবক পুষ্কর মাহাট্টা । 



এছাড়া পোলো (Poolwo) নামেও একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ২০১৪ সালে তৈরি করেছিল ভারতের কোম্পানি পোলভো আইটি সলিউশন । কোম্পানির যে টিম সাইটটি তৈরি করেছিল তার সদস্যরা ছিলেন অঞ্জলি গোকুলদাস, কে এম প্রেমাদাসান, জর্জ কাকানাড়, টিনজু পি মোহন এবং কে এস নায়ার । পোলো ছিল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং কাম ব্লগ সাইট । অর্থাৎ এই সাইটের মাধ্যমে সোশ্যাল কনট্যাক্টের পাশাপাশি সাইটের ব্লগ পেজে গিয়ে ব্লগ লেখার সুবিধাও ছিল । এছাড়া ফেসবুকের মতো জব সার্চ, নিউজ ফিড সহ একাধিক ফিচার ছিল সাইটটিতে ।





তাই, এলিমেন্টস অ্যাপটি ভারতে অনলাইন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এর দুনিয়ায় প্রথম উদ্যোগ নয় । তবে অবশ্যই এটি একটি ভালো উদ্যোগ । ফেসবুকের মতো এলিমেন্টস অ্যাপে একাধিক ফিচারও রয়েছে । আপাতত ইংরেজি ছাড়া আটটি ভারতীয় ভাষায় অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে । তবে কয়েকটি বিষয় নজরে এল । প্রথমত, অ্যাপটির সাইজ খুবই বড়, প্রায় ১২৭ এমবি । আমার মনে হয় ফেসবুকের মতো এলিমেন্টস-এর লাইট ভার্সন নিয়ে আসা উচিত । দ্বিতীয়, অনেকেই অভিযোগ করেছেন অ্যাপটি ডাউনলোড করলেও তারা ইনস্টল করতে পারছেন না, কারণ ওটিপি ঠিক সময়ে আসছে না । এটি গুরুতর বিষয় । কারণ কোনও গ্রাহক যদি অ্যাপটি ইনস্টল করতে গিয়ে প্রথমেই এমন সমস্যায় পড়েন তবে তিনি শেষ পর্যন্ত অ্যাপটি আদৌ ব্যবহার করবেন কি না, তা একটা বড় প্রশ্ন । 





টেকনোবিটসের এই ব্লগটি পড়ে যদি ভালো লাগে তবে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করুন। কমেন্ট করুন ব্লগের নীচে বা টেকনোবিটসের ফেসবুক পেজে।

টেকনোবিটসের ব্লগগুলি যদি নিজের ফেসবুক নিউজ ফিডে পেতে চান, তবে টেকনোবিটসের ফেসবুক পেজে গিয়ে Follow বাটন ক্লিক করে তারপর See first অপশনটিতে ক্লিক করুন। ইমেল সাবস্ক্রিপশনের  জন্য টেকনোবিটসের ব্লগ সাইটে নিজের ইমেল আইডি সাবমিট করে রেজিস্ট্রেশন করুন। ধন্য়বাদ। 

No comments:

Post a Comment

জনপ্রিয় পোস্ট