টেকনোবিটসের অনেক পাঠক প্রায়ই মেল করে জানতে চান, কীভাবে অ্যাপ তৈরি করবেন। অ্যাপ
তৈরি করার জন্য কী কী প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানা প্রয়োজন ইত্যাদি ইত্যাদি।
Photo credit: Pixabay |
হ্যাঁ, এটা ঘটনা যে, অ্যাপ তৈরি করার অন্যতম শর্ত হল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ
জানা। শুধু জানলেই হবে না, কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজের মাধ্যমে সফটওয়্যার প্রোগ্রাম
লেখার ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতাও প্রয়োজন — যাকে বলে ‘কোডিং স্কিল’। তবে টেকনোবিটসের
সাধারণ পাঠক যাঁরা রয়েছেন যাঁদের সেই অর্থে কোডিং স্কিল নেই, তাঁদের জানাই যে,
একটা বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে যার সাহায্যে কোডিং স্কিল ছাড়াই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি
করা সম্ভব।
কিন্তু কিভাবে সফটওয়্যার প্রোগ্রামিং না জেনেই অ্যাপ তৈরি করবেন?
পদ্ধতিটি খুবই সহজ। প্রথমেই
জানিয়ে রাখি যে, এই পদ্ধতিতে অ্যাপ তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রোগ্রামিং না জানলেও
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান থাকা
প্রয়োজন। এছাড়া দরকার একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা ট্যাব কিংবা ডেস্কটপ কম্পিউটার বা
ল্যাপটপ।
প্রথমে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের বক্সে অ্যাপসগিজার ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেসটি আপনাকে টাইপ করতে হবে। অ্যাড্রেসটি টেকনোবিটসের ফেসবুক পেজের ডাউনলোড পোস্টে (যে পোস্টটি পেজের টাইমলাইনে সবচেয়ে উপরে রয়েছে) পাবেন। সাইটটি ওপেন হওয়ার পর সেটির ‘ক্রিয়েট নাউ’ বাটনটিতে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর বিভিন্ন ক্যাটেগরির অ্যাপের স্যাম্পল স্ক্রিনে শো করবে। যেমন, মেসেঞ্জার অ্যাপ, ব্রাউজার অ্যাপ, রেডিয়ো অ্যাপ, ফটো এডিটর অ্যাপ, পিডিএফ রিডার অ্যাপ ইত্যাদি। কোন অ্যাপ তৈরি করতে কত সময় লাগে, সেই অ্যাপের মাধ্যমে উপার্জনের সম্ভাবনা কতটা ইত্যাদি প্রয়োজনীয় তথ্যও দেওয়া রয়েছে প্রতিটি স্যাম্পলের পাশে।
অ্যাপ সেটিংস মেনু
ধরা যাক আপনি একটি মেসেঞ্জার
অ্যাপ তৈরি করতে চান। তাহলে ক্লিক করুন মেসেঞ্জার অ্যাপ স্যাম্পলে। এবার স্ক্রিনে
শো করবে অ্যাপ সেটিংস মেনু। সেখানে অ্যাপের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় ইউজার ইন্টারফেস
অর্থাৎ অ্যাকশন বার কালার, ব্যাকগ্রাউন্ড কালার, ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ ইত্যাদি
সিলেক্ট করার অপশন রয়েছে। ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ আপনি পছন্দ মতো সিলেক্ট করুন তবে
মাথায় রাখবেন ইমেজের রেজলিউশন যেন ১২৮০x৭২০ পিক্সলস হয়। প্রয়োজনীয় সমস্ত ফিচার সিলেক্ট করার
পর ‘নেক্সট বাটন’ ক্লিক করুন।
অ্যাপ নেম
এবার নতুন যে পেজ ওপেন হবে, সেখানে দেখুন ‘অ্যাপ
নেম’ অপশন রয়েছে। আপনার মেসেঞ্জার অ্যাপটির একটি আকর্ষণীয় নাম দিন এবং ‘নেক্সট
বাটন’ ক্লিক করুন। এবার ডেসক্রিপশন বক্স-এ আপনার অ্যাপটির সম্পর্কে প্রয়োজনীয় যে সমস্ত তথ্য
ব্যবহারকারীদের জানানো প্রয়োজন সেটি লিখুন। অর্থাৎ আপনার অ্যাপটির কাজ মূলত কী,
এটি গ্রাহকদের কী কী সুবিধা দেবে ইত্যাদি ইত্যাদি। মনে রাখবেন, আপনার অ্যাপ
ডেসক্রিপশন যেন খুব বড় না হয়। ডেসক্রিপশন হবে সংক্ষিপ্ত এবং স্মার্ট। ডেসক্রিপশন
অবশ্যই ইংরেজিতে লিখবেন।
অ্যাপ আইকন
ডেসক্রিপশন লেখার পর ফের ‘নেক্সট বাটন’ ক্লিক করুন। এবার
অ্যাপ আইকন পেজ শো করবে। সেখানে ‘অ্যাপ আইকন’ সিলেক্ট করুন। এক্ষেত্রে আইকন পেজে
দেওয়া যে কোনও ডিফল্ট আইকন সিলেক্ট করতে পারবেন, কিংবা নিজে কোনও আইকন তৈরি করে
(কাস্টম আইকন) সেটিও ব্যবহার করতে পারবেন। একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা পাঠকদের জানিয়ে
রাখি। অনেকেই কাস্টম আইকন তৈরি করার সময় গুগল ইমেজ থেকে নিজের পছন্দের কোনও ছবি
ব্যবহার করেন। কিন্তু সেই ছবিটির কপিরাইট রয়েছে কিনা, তা খেয়াল করেন না। এর ফলে
অনেকের অ্যাপ রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যায়। তাই গুগল সার্চ বক্সে গিয়ে ‘কপিরাইট
ফ্রি ইমেজ’ টাইপ করে তারপর ছবি সিলেক্ট করুন। আর যদি ফটোশপে নিজে কোনও আইকন তৈরি
করে নিতে পারেন তবে তো কথাই নেই।
আইকন সিলেক্ট করার পর ফের ‘নেক্সট বাটন’ ক্লিক
করুন। এবার অ্যাপ রেজিস্ট্রেশনের পালা। অ্যাপ তৈরির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়
এটি। এজন্য ‘ক্রিয়েট বাটন’ ক্লিক করার পর যে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম স্ক্রিনে শো করবে
সেটি ঠিকঠাক ফিল আপ করে সাইন আপ করুন।
সাইন আপ করার পর অ্যাপসগিজার ওয়েবসাইট থেকে আপনাকে
ইমেলে একটি ভেরিফিকেশন লিঙ্ক পাঠানো হবে। ভেরিফিকেশনের জন্য সেই লিঙ্কটি ক্লিক
করুন। এবার আপনি অ্যাপসগিজার ওয়েবসাইটের ‘ড্যাশবোর্ড’-এ গিয়ে আপনার তৈরি করা অ্যাপটি
ডাউনলোড করে ফোনে ইনস্টল করে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ‘পাবলিশ বাটন’ ক্লিক করে
অ্যাপটিকে আপনি গুগল প্লে স্টোর বা আমাজন অ্যাপ স্টোর পাবলিশ করতে পারবেন। সেখান
থেকে অন্যরা আপনার অ্যাপটিকে নিজেদের ফোনে বা ট্যাবে ডাউনলোড করতে পারবেন।
Kintu sir publish option kothay Pabo..google palystore paoya jabe na app ti tey Paoya jabe
ReplyDeleteখুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
ReplyDelete