Screen shot of YouTube Go |
কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির সমস্যা হল ইন্টারনেট প্রযুক্তির উন্নতি হলেও নেটওয়ার্ক পরিকাঠামোর সেভাবে উন্নতি হয়নি।
উন্নত প্রযুক্তির সুফল পুরোপুরি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে
পরিকাঠামোর যথাযথ উন্নতি প্রয়োজন। পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণ
বিনিয়োগের।
কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে অনেক ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানিগুলি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও পরিকাঠামোর পেছনে সেভাবে বিনিয়োগ করে না। অর্থাৎ ব্যাপারটা এমন যে, আপনার শহরে রাস্তাগুলি চওড়া করা হল, কিন্তু টাকা খরচ করে রাস্তাগুলির আর সংস্কার করা হল না। ফলে সেগুলি খানাখন্দেই ভর্তি থাকলো। তাই রাস্তা চওড়া করা হলেও গাড়ি যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা মিটলো না।
ইন্টারনেট প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও আমাদের দেশের অবস্থা অনেকটা এমনই। তাই 4G প্রযুক্তি আসার পরেও এখনো আমাদের দেশের অনেক জায়গায় ইন্টারনেট কানেকশনের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে গ্রাহকদের। শহর ছাড়িয়ে যদি গ্রামের দিকে যান, তবে সেখানে এখনো ইউটিউব ভিডিয়ো অনলাইনে দেখতে গেলে আপনাকে বাফারিং-এর সমস্যায় ভুগতে হবে।
কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে অনেক ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানিগুলি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও পরিকাঠামোর পেছনে সেভাবে বিনিয়োগ করে না। অর্থাৎ ব্যাপারটা এমন যে, আপনার শহরে রাস্তাগুলি চওড়া করা হল, কিন্তু টাকা খরচ করে রাস্তাগুলির আর সংস্কার করা হল না। ফলে সেগুলি খানাখন্দেই ভর্তি থাকলো। তাই রাস্তা চওড়া করা হলেও গাড়ি যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা মিটলো না।
ইন্টারনেট প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও আমাদের দেশের অবস্থা অনেকটা এমনই। তাই 4G প্রযুক্তি আসার পরেও এখনো আমাদের দেশের অনেক জায়গায় ইন্টারনেট কানেকশনের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে গ্রাহকদের। শহর ছাড়িয়ে যদি গ্রামের দিকে যান, তবে সেখানে এখনো ইউটিউব ভিডিয়ো অনলাইনে দেখতে গেলে আপনাকে বাফারিং-এর সমস্যায় ভুগতে হবে।
⇒ চেষ্টা চালাচ্ছিল গুগল
আমাদের
দেশে ইন্টারনেট কানেকশনের এই সমস্যা যে গুগল-এর অজানা, তা
নয়। তবে আগেই বলেছি যে, এটা শুধু ভারতের সমস্যা নয়, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান,
ইন্দোনেশিয়া, তাইল্যান্ড সহ তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এই সমস্যা রয়েছে। এই
সমস্যা কীভাবে মেটানো যায়, তা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছিল গুগল। তাদের
সেই চেষ্টার ফল হল YouTube Go।
⇒ অ্যাপটির বৈশিষ্ট
এখন আপনারা ফোনে
ইউটিউবের যে অ্যাপটি ব্যবহার করেন, সেই অ্যাপের লাইট ভার্সন হল YouTube
Go। লাইট ভার্সন বললাম, কারণ এই অ্যাপটির সাইজ মাত্র ৯.৪ MB। গুগলের এই নতুন অ্যাপটির বৈশিষ্ট হল, এর
সাহায্যে আপনি যে সমস্ত এলাকায় ইন্টারনেট কানেকশন খুব স্লো, সেখানেও ইউটিউব ভিডিয়ো
সহজেই ডাউনলোড করে দেখতে পারবেন। এই অ্যাপটির মাধ্যমে আপনি যখন কোনো ভিডিয়ো
ডাউনলোড করবেন, তখন অ্যাপটি আপনার কাছে জানতে চাইবে আপনি কোন রেজলিউশনের ভিডিয়ো
ডাউনলোড করবেন। অ্যাপটির বিটা ভার্সন আপনাকে দুই রকম রেজলিউশনের ভিডিয়ো ডাউনলোড
করার অপশন দেবে, একটি হল ১৪৪p এবং অন্যটি হল ৩৬০p। তবে অ্যাপটির স্টেবল ভার্সন অর্থাৎ যে ভার্সনটি প্লে স্টোরে রিলিজ করা
হবে, তাতে ১৪৪p এবং ৩৬০p রেজলিউশনের পাশাপাশি ৪৮০p রেজলিউশনের ভিডিয়ো ডাউনলোড করার অপশনও থাকবে। অ্যাপটি
কোনো ভিডিয়ো ক্লিপিংস ডাউনলোড করার আগে এই তিন ধরনের রেজলিউশনের (১৪৪p, ৩৬০p ও ৪৮০p) অপশনগুলি শো করবে
(ব্লগের সঙ্গে দেওয়া ছবিটি দেখুন)
‘বেসিক কোয়ালিটি’, ‘স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি’ এবং
‘হাই কোয়ালিটি’ — এই হিসাবে। কোন কোয়ালিটির রেজলিউশন ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে কত
ডেটা খরচ হবে, সেটাও অ্যাপের ইন্টারফেসে আপনি দেখতে পাবেন। কোনো জায়গায় ইন্টারনেট
কানেকশন খুব স্লো থাকলেও, সেখানে সহজেই এই অ্যাপের মাধ্যমে ‘বেসিক কোয়ালিটি’-র ভিডিয়ো ডাউনলোড করে দেখা সম্ভব।
⇒ স্টোর ও ট্রান্সফারের সুবিধা
YouTube
Go অ্যাপের মাধ্যমে আপনি ভিডিয়ো ডাউনলোড করে ফোনের ইন্টারনাল মেমরি
বা এসডি কার্ডে স্টোর করে রাখতে পারবেন। শুধু তাই নয়, আপনি সেই ডাউনলোড করা ভিডিয়োটি
Bluetooth দিয়ে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন।
⇒ অপারেটিং সিস্টেম
YouTube Go অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের
জেলিবিন (অ্যান্ড্রয়েড ৪.১) ও তার উপরের সমস্ত ভার্সন
সাপোর্ট করে।
⇒ ভার্সন
YouTube Go অ্যাপটির বিটা ভার্সন গুগল
লঞ্চ করেছে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে। বলা যেতে পারে অনেকটা গোপনেই গুগল এই অ্যাপটি
লঞ্চ করেছে, তাই এখনো অনেকেই এই অ্যাপটির কথা সেভাবে জানে না। অ্যাপটির বিটা
ভার্সন এতদিন গুগল নানা ভাবে টেস্ট করছিল।
এবার গুগল জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই তারা অ্যাপটির স্টেবল ভার্সন প্লে স্টোরে লঞ্চ করবে। প্রথমে অ্যাপটির স্টেবল ভার্সন লঞ্চ হবে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ায়। তবে যাঁরা আগ্রহী তারা গুগল প্লে স্টোর গিয়ে এখনই এই অ্যাপটির বিটা ভার্সনটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।
এবার গুগল জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই তারা অ্যাপটির স্টেবল ভার্সন প্লে স্টোরে লঞ্চ করবে। প্রথমে অ্যাপটির স্টেবল ভার্সন লঞ্চ হবে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ায়। তবে যাঁরা আগ্রহী তারা গুগল প্লে স্টোর গিয়ে এখনই এই অ্যাপটির বিটা ভার্সনটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।
No comments:
Post a Comment