17 Feb 2018

বোয়িং MH370 কি হ্যাকড্ হয়েছিল?


কোনো আধুনিক বিমানকে হ্যাক করা এতদিন শুধু কল্পবিজ্ঞানের বিষয় ছিল, কিন্তু এখন তা বাস্তব। এর আগে টেকনোবিটসের ব্লগে লিখেছিলাম, একটি বিমান যখন আকাশে ওড়ে তখন সে নির্দিষ্ট পথে যাওয়ার জন্য মাটি থেকে এয়ার ট্রাফিক কনট্রোলের


This photo is a property of teknowbits.blogspot.com


পাঠানো রেডিয়ো সিগন্যাল মেনে চলে। কিছুদিন আগে আমেরিকায় এফবিআই (ফেডেরাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) ক্রিস রবার্টস নামে এক হ্যাকারকে গ্রেপ্তার করেছিল।

কী করেছিল ক্রিস? সে ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম হ্যাক করে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ডেনভার থেকে শিকাগোগামী একটি বিমানের নিয়ন্ত্রণ কিছুক্ষণের জন্য নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছিল।




কীভাবে ক্রিস বিমানটির সিস্টেম হ্যাক করেছিল?


বিমানের কন্ট্রোল নিজের হাতে নেওয়ার জন্য ক্রিসকে প্রথমে বিমানে এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেম (যে সিস্টেমের মাধ্যমে বিমানে যাত্রীদের মুভি দেখানো হয় বা গান শোনানো হয়) হ্যাক করেছিল। বিমানে এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেমের কন্ট্রোল বক্সগুলি যাত্রীদের সিটের নীচে থাকে। ক্রিস বিমানে ল্যাপটপ এবং ডেটা কেবল নিয়ে উঠেছিল। বিমান ছাড়ার পর সে কেবল দিয়ে ল্যাপটপকে সিটের নীচে এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেমের বক্সের সঙ্গে কানেক্ট করে। এরপর এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেম হ্যাক করে ক্রিস বিমানে মূল কম্পিউটারে অর্থাৎ ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমে ঢুকে সেটি হ্যাক করে। কোনও সন্ত্রাসবাদী যদি এভাবে বিমানের কন্ট্রোল নিজের হাতে নিয়ে নেয়, সেক্ষেত্রে কী হতে পারে তা নিশ্চয় পাঠকরা অনুমান করতে পারছেন।


বিমান হ্যাক করার আরও একটি উপায় রয়েছে

 

আকাশে বিমানগুলি বিভিন্ন উচ্চতায় যাতায়াত করে। যদি দুটি বিমান মাটি থেকে একই উচ্চতায় উড়তে উড়তে পরস্পরের মুখোমুখি হয়, তবে সেগুলির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। তাই সেই দুর্ঘটনা এড়াতে কোন বিমানটি কখন মাটি থেকে ঠিক কত উচ্চতায় উড়বে, তা পাইলটকে বিমান বন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। এজন্য এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে সর্বদা বিভিন্ন বিমানের পাইলটের ADS-B (অটোমেটিক ডিপেন্ডেন্ট সার্ভেল্যান্স ব্রডকাস্ট) সিস্টেমের মাধ্যমে ওয়ারলেস সিগন্যালের সাহায্যে যোগাযোগ থাকে। ঠিক যেভাবে WiFi সিগন্যাল হ্যাক করা যায়, সেভাবে এই ওয়্যারলেস সিগন্যালও হ্যাক করা সম্ভব। ধরা যাক, নীচ থেকে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল কোনও বিমানের পাইলটকে ওয়্যারলেস সিগন্যালের সাহায্যে নির্দেশ পাঠাল মাটি থেকে ৩২ হাজার ফিট উপর দিয়ে উড়তে হবে। এবার সেই বিমানের উল্টো দিক থেকে ধরা যাক দ্বিতীয় একটি বিমান আসছে যেটি মাটি থেকে ৩৫ হাজার ফিট উপর দিয়ে উড়ছে। যদি কেউ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সিগন্যাল হ্যাক করে সেটিকে পরিবর্তন করে এবং প্রথম বিমানের পাইলটকে নির্দেশ পাঠায় মাটি থেকে ৩৫ হাজার ফিট উপর দিয়ে উড়তে, তাহলে দুটি বিমানে মধ্যে সংঘর্ষ অনিবার্য। আর তেমনটা হলে কোনও বিমানেরই কোনও যাত্রী বাঁচবে না। এই ধরনের হ্যাকিংকে বলা হয় ‘স্কাইজ্যাকিং’। মাটি থেকে কত উচ্চতায় উড়তে হবে শুধু তাই-ই নয়, আকাশে ওড়ার সময় বিমানটি কখন কোন দিকে ঘুরবে, কতটা স্পিডে যাবে, কখন কীভাবে ল্যান্ড করবে ইত্যাদিও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের নির্দেশ অনুসারে হয়। এছাড়া বিমান হ্যাক করার এখন আরও একটি উপায় রয়েছে। সেটি কী, সেই প্রসঙ্গে পরে আসছি।


বিমানের সুরক্ষা ব্যবস্থায় বিশেষ পরিবর্তন

 

আমরা সবাই জানি ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে কী ঘটেছিল। আল কায়দার ১৯ জন জঙ্গি সেদিন আমেরিকার চারটি বিমান হাইজ্যাক করেছিল। হাইজ্যাক করার পর তারা বিমানে পাইলটের কেবিনে ঢুকে বিমানের কন্ট্রোল নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। এরপর বিমানগুলিকে তারা ক্র্যাশ করায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ারে ও পেন্টাগনের অফিসে। চতু্র্থ বিমানটিকে সম্ভবত আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউজে ক্র্যাশ করানোর পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। কিন্তু কোনও কারণে সেটা আর হয়ে ওঠেনি। সেই বিমানটি পেনসিলভিনিয়ায় একটি মাঠে ক্র্যাশ করে। এই জঙ্গি হানায় সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। 9/11 একদিকে যেমন বিশ্বের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমূল পরিবর্তন এনেছিল, তেমনি বিমানের সুরক্ষা ব্যবস্থাতেও এনেছিল বিশেষ পরিবর্তন। ওই ঘটনার পর বিমান কোম্পানিগুলি চিন্তাভাবনা শুরু করে, আগামীতে কীভাবে এই পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব। সেই চিন্তাভাবনার ফসল হল Boeing Honeywell Uninterruptible Autopilot System


Boeing Honeywell Uninterruptible Autopilot System কী?


এটি একটি বিশেষ কম্পিউটারাইজড্ পদ্ধতি। বিমান যদি কেউ হাইজ্যাক করার চেষ্টা করে, তবে এই সিস্টেম পাইলট সুইচ টিপে চালু করতে পারে, কিংবা বিমানে লাগানো বিশেষ সেনসর নিজে থেকে সক্রিয় হয়ে এই সিস্টেম চালু করে দিতে পারে, কিংবা হাইজ্যাকিং-এর খবর পাওয়ার পর বিমানটি যে দেশের এয়ারলাইন্সের, সেই দেশের সরকার মাটি থেকে পাঠানো রেডিয়ো সিগন্যাল বা স্যাটেলাইট থেকে পাঠানো বিশেষ সিগন্যালের সাহায্যে এই সিস্টেম চালু করতে পারে। এই সিস্টেম একবার চালু হয়ে গেলে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ আর পাইলটের হাতে থাকবে না। বিমানটিকে তখন মাটি থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। অর্থাৎ বিমানটি কোন পথে উড়বে, মাটি থেকে কত উচ্চতায় উড়বে বা কোথায় ল্যান্ড করবে — সব কিছুই Boeing Honeywell Uninterruptible Autopilot System – এর মাধ্যমে মাটি থেকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।


ফিরে যাই চার বছর আগের একটি ঘটনায় 


তারিখটা ৮ মার্চ, ২০১৪। সেই রাতে মালেশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে টেক অফ করেছিল বোয়িং MH 370 বিমান। বিমানে যাত্রী ছিলেন ২৩৯ জন। বিমানটির কুয়ালালামপুর থেকে যাওয়ার কথা ছিল চিনের বেজিং। কিন্তু মাঝ আকাশে রহস্যজনকভাবে বিমানটি হারিয়ে গেল। প্রথমে মনে করা হয়েছিল বিমানটি ভারত মহাসাগরে ভেঙে পড়েছে। কিন্তু ৮ মার্চের পর থেকে ভারত মহাসাগরে দুই বছর ধরে তন্নতন্ন করে সার্চ অপারেশন চালানো হয় বিভিন্ন দেশের তরফে। কোনও বিমান হারিয়ে যাওয়ার পর এটি ছিল বিশ্বের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সার্চ অপারেশন। কিন্তু সেই সার্চ অপারেশনে বিমানের একটি ভাঙা টুকরোও মেলেনি।

দুই বছর ধরে সার্চ অপারেশন চালানোর পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে একটি বিমানের ৩০টি ভাঙা টুকরো পাওয়া যায়। মনে করা হয় সেগুলি সেই হারিয়ে যাওয়া MH 370 বিমানের অংশ। যদিও সেটা নিয়ে অনেকেই নিশ্চিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে একটি বোয়িং বিমান সমুদ্রে ভেঙে পড়লে সেটি অন্তত ১০ হাজার টুকরো হবে। তাহলে বাকি টুকরোগুলি কোথায় গেল? দুই বছর ধরে এত বড় সার্চ অপারেশন চলার সময় কেন বিমানের কোনও টুকরো মেলেনি? এমনকী সেই হতভাগ্য ২৩৯ জন যাত্রীর কারও দেহ বা তাঁদের কোনও লাগেজও কোথাও মেলেনি। তাহলে…?


তাহলে কি স্কাইজ্যাকিং?


এই ‘তাহলে’-র উত্তরেই উঠে আসছে বিমান হ্যাকিং বা স্কাইজ্যাকিং-এর থিয়োরি। মনে করা হচ্ছে, কোনও দেশের গুপ্তচর এজেন্সি MH 370 বিমানটির কম্পিউটারাইজড্ Boeing Honeywell Uninterruptible Autopilot System হ্যাক করে বিমানটিকে কোনও অজানা স্থানে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন এই কথা বলা হচ্ছে? তার কারণ টেক অফ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটির অস্বাভাবিক ভাবে গতিপথ পালটানো এবং বিমানের কার্গো লিস্টে কিছু গড়মিল।

ছবিটি প্রতীকী।    Photo Courtesy: Pixabay

MH 370 কুয়ালালামপুর থেকে টেক অফ করার পর বেজিং পৌঁছানোর জন্য সেটির পূর্ব দিকে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। বিমান টেক অফ করার পর তার পাইলটের সঙ্গে মাটিতে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের নিয়মিত যোগাযোগ থাকে। বিমানটির পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের শেষ যে কথা হয়েছিল, তাতে পাইলট জানিয়েছিল ‘Everything is all right’ অর্থাৎ সব ঠিক আছে। কিন্তু সেই কথার ১২ মিনিটের মাথায় বিমানটির সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বিমানটি হঠাৎ উল্টো দিকে যাওয়া শুরু করে, অর্থাৎ পূর্ব দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে পশ্চিম দিকে টার্ন নেয়। এরপর থেকে বিমানটি পশ্চিম দিক বরাবর একটানা উড়তে শুরু করে। শেষ বারের মতো বিমানটিকে বেজিং-এর উল্টো দিকে কয়েক হাজার মাইল দূরে মালাক্কা প্রণালীর উপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা গিয়েছিল। তারপর বিমানটির আর খোঁজ পাওয়া যায়নি, সেটি কার্যত অদৃশ্য হয়ে যায়। এবার প্রশ্ন হল বিমান আকাশে ওড়ার পর যদি কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়, তাহলে পাইলট বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে নিচে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জানাবে। কিন্তু পাইলট জানিয়েছিল, সব ঠিক আছে। পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরেও বিমানটি কিন্তু পাঁচ ঘন্টা আকাশে উড়েছিল। আর এই সময় বিমানটি দুই বার গতিপথ পালটে ছিল। প্রথমবার গতিপথ পালটে বিমানটি U টার্ন নিয়ে ফের মালেশিয়ার উপর দিয়ে উড়ে যায়। দ্বিতীয়বার বিমানটি গতিপথ পালটে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপর দিয়ে উড়ে যায়। শেষবার বিমানটিকে বেজিং ও মালেশিয়ার থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে মালাক্কার উপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা গিয়েছিল। বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ঘটলে সেটি এতক্ষণ এভাবে আকাশে উড়তে পারে না। তাহলে কি বিমানটির নিয়ন্ত্রণ তখন পাইলটের হাতে ছিল না? বিমানটির Boeing Honeywell Uninterruptible Autopilot System হ্যাক করে কেউ বা কারা কি তখন মাটি থেকে বিমানটিকে নিজেদের পছন্দের গতিপথে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল এবং বিমানের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল? তা ছাড়া এই রহস্যর আর কোনও সম্ভাব্য উত্তর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে যে, বিমানটির Autopilot System হ্যাক করে বিমানটির গতিপথ পালটে দিয়ে সেটিকে সম্ভবত কোনও অজানা দ্বীপে বা কোনও দেশে গোপনে ল্যান্ড করানো হয়েছিল। কেউ কেউ বলছেন, বিমানটিকে সম্ভবত আন্টার্কটিকায় ল্যান্ড করানো হয়েছিল। সেখানে বরফের নিচে বিমানটি চাপা পড়ে গেলে অন্তত আগামী ১০০ বছরে তার খোঁজ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

কিন্তু মাটি থেকে রেডিয়ো সিগন্যাল বা স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনের মাধ্যমে Boeing Honeywell Uninterruptible Autopilot System হ্যাক করে কোনও বিমানকে নিজের কন্ট্রোলে নেওয়া কোনও একজন বা দুইজন সাধারণ হ্যাকারের কাজ হতে পারে না। সেক্ষেত্রে এই হ্যাকিং বা স্কাইজ্যাকিং-এর পেছনে অবশ্যই কোনও দেশের গুপ্তরচ বা সামরিক সংস্থার প্রশিক্ষিত হ্যাকারদের টিম রয়েছে। কিন্তু কোন দেশ?


কার্গো ম্যানিফেস্ট


কোন দেশ এই ঘটনার পেছনে থাকতে পারে, সেই প্রশ্নের উত্তরে উঠে আসছে বিমানের কার্গো ম্যানিফেস্টের প্রসঙ্গ। যাত্রীবাহী বিমান যাত্রী বহনের পাশাপাশি প্রচুর মালও বহন করে। একটি বিমানে যাত্রীদের লাগেজ ছাড়াও আর কোন কোন সামগ্রী বহন করা হচ্ছে তার একটি তালিকা থাকে, সেই তালিকাকে বলে কার্গো ম্যানিফেস্ট। তদন্তে যে বিষয়টি সামনে এসেছে তা হল অভিশপ্ত সেই MH 370 বিমানে করে বেজিং-এ বিশেষ কোনও কিছু পাঠানো হচ্ছিল কিন্তু রহস্যজনকভাবে তার উল্লেখ কার্গো ম্যানিফেস্টে ছিল না। সাধারণত কোনও বিশেষ সামরিক অস্ত্র বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ বিমানে এভাবে গোপনে পাঠানো হয় যার উল্লেখ কার্গো ম্যানিফেস্ট-এ থাকে না। তাহলে কী সেই বিমানটিতে মালেশিয়া থেকে চিনে এমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাঠানো হচ্ছিল, যা চিনে পৌঁছাক তা চায়নি বিশেষ কোনও দেশ। সেই বিশেষ দেশের গুপ্তচর সংস্থার হ্যাকারদের টিম কি বিমানটির অটোপাইলট সিস্টেম হ্যাক করে সেটিকে বেজিং-এ পৌঁছাতে দেয়নি? এমনটা হওয়া অসম্ভব নয়। বিমানটি হারিয়ে যাওয়ার পর মালেশিয়ার পাশাপাশি চিন সরকারও কিন্তু তন্নতন্ন করে বিমানের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল। মালেশিয়ার বিমানটি হারিয়ে যাওয়ায় চিন সরকার যে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হয়েছিল এই ঘটনা তার প্রমাণ। 


কোন দেশের হ্যাকাররা এমনটা করতে পারে? 


অবশ্যই চিনের শত্রু বা চিনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে গন্ডগোল চলছে এমন কোনও দেশ। সেটা কোন দেশ তা টেকনোবিটসের পাঠকরা আন্দাজ করতে থাকুন, আমি সেই বিষয়ে বিস্তারিত গেলাম না, কারণ সেই বিষয় নিয়ে কিছু বলা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। এই লেখার উদ্দেশ্য যেটা বলতে চাওয়া তা হল, যে Boeing Honeywell Uninterruptible Autopilot System তৈরি করা হয়েছিল বিমান হাইজ্যাক বন্ধ করে তার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে, সেই সিস্টেম হ্যাক করে বিমানকে যে মাটিতে বসেই হাইজ্যাক করা সম্ভব, তার বোধহয় প্রথম উদাহরণ অভিশপ্ত MH 370

8 comments:

  1. বেশ ভালো লিখেছ দাদা .. পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ। ভালো লাগলে শেয়ার কর।

      Delete
  2. সত্যিই শিক্ষণীয় বিষয়।

    ReplyDelete
  3. অসাধারণ একটি লেখা. ধন্যবাদ

    ReplyDelete
  4. Sir i have a youtube channels about technology in bengaly but after one year publishing 50+ video my channel don't grow up ! Sir please help me
    My channel link
    https://www.youtube.com/channel/UCXVhIBGYDJUeVa3wf3gTs6w

    ReplyDelete

জনপ্রিয় পোস্ট